আপনারা অনেকেই আজ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে তা জানেন না। আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। আজকে তাই আজ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ভিসা। কারণ ভিসা ছাড়া আপনারা চাইলেই যেকোনো দেশে ভ্রমণের জন্য বা কাজের জন্য যেতে পারবেন না। ভিসা হচ্ছে এক প্রকারের অনুমতি নেওয়ার মতো। বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা টাকা খরচ করে বানাতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক কাজ কিংবা পড়ালেখার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যায়। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে? তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কলিং ভিসাও চালু হয়েছে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা মূলত শ্রমিকদের জন্য পি এল কে এস সরকার অনুমোদিত বৈধ কাজের ভিসা কনস্ট্রাকশন ,সার্ভিস সেক্টর, ম্যানুফ্যাকচারিং ,প্লান্টেশন ,ডোমেস্টিক,কৃষি ভিসা এই ক্যাটাগরি নিয়ে কলিং ভিসা হয়। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে? এইসকল ভিসার মাধ্যমে যে কেউ কাজ কিংবা পড়ার জন্য বাইরে যেতে পারবে। তবে কলিং ভিসায় যারা যেতে চান তারা শুধু কাজের জন্যই যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে
মালয়েশিয়া কলিং ভিসায় কর্মী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে, মালয়েশিয়া সরকার প্রদত্ত সিস্টেম নিয়ে বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে হ্যাঁ বা না কোন ধরণ এর সাড়া না পাওয়ায় আজও বাংলাদেশ কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার পথ নিশ্চিত করতে পারে নাই। কারণ ২০২৩ এর প্রথম দিকে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক টাকা প্রদান করে মানেয়শিয়া যাওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট দেখা দেয়। যার ফলে মালয়েশিয়া সরকার ফেব্রুয়ারির দিকে এই ভিসা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে? শুধু কলিং ভিসায় নই সকল ধরনের ভিসায় বন্দ থাকায় এই নিয়ে চিন্তার কোন কিছু নেই। যেহুতু এইটা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষিত হয়েছে তাই এইসকল ভিসা খুব শিগ্রয়ই আবার চালু হয়ে যাবে।
কিন্তু মানব সম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বলেছিলেন, খুব শিগগিরই মালয়েশিয়ার কোম্পানি বা মালিকদের কলিং ভিসায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদনের তারিখ ঘোষণা করবে। তাই দীর্ঘ ৩-৪ মাস মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ থাকার পর গত ২-৩ মাস আগে মালয়েশিয়ান সরকার থেকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে সেই চুক্তির ফলে এখন বর্তমানে মালয়েশিয়ান কলিং ভিসা চালু আছে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার খরচ কত ?
আপনারা অনেকেই জানেন না যে একজন শ্রমিকের মালেয়শিয়া যেতে কত খরচ হয়। আজকে আমরা আপনাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানিয়ে দেবো যে মালেয়শিয়া যেতে একজন শ্রমিকের কত টাকা খরচ হতে পারে। মালয়েশিয়ার বিমান টিকেটের ভাড়া = ১,৬০,০০/- তবে বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছু মিলিয়ে খরচ হয় ৪ লক্ষ্ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু আপনি যদি দালালের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে।
- ভিসা প্রসেসিং ফি ১,৬০,০০০/০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
- বিমান টিকেট ফি ৩৫,০০০/- (পয়ত্রিশ হাজার) টাকা।
- ভিসা ক্রয় বাবদ খরচ ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা।
- এজেন্সির লাভ অংশ ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা।
- অন্যান্য খরচ ৫,০০০/- (পাচঁ হাজার) টাকা।
- সর্বমোট ৩,৫৫,০০০/- (তিন লক্ষ পনচান্ন হাজার) টাকা।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন উপায়
নিচে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন উপায় দেওয়া হলো-
আপনারা যারা অনলাইনে মালয়েশিয়া কলিং ভিসার আবেদন করতে চান তাদের www.visasmalaysia.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে আপনার ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য পূরণ করার জন্য একটি ফরমেট যাবেন।
সেটি সম্পূর্ণ পূরণ করার পরে, আপনারা সাবমিট বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন কমপ্লিট হয়ে যাবে। আর মালয়েশিয়া কলিং ভিসা অনলাইন আবেদন করার পর। সেই আবেদন কমিটি নিয়ে, সরাসরি আপনার মালয়েশিয়ায় এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলালিংক সিমের নাম্বার কিভাবে দেখে 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে জেনেছেন। ভিশন ফ্রিজের মূল্য তালিকা 2023? এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।