আপনারা অনেকেই আজকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ তা জানেন না। আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। আজকে তাই আজ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩
নুমস্কার বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা আপনাদের নিকট নতুন একটি প্রতিবেদন নিয়ে আসছি। আপনারা অনেকেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পর্তুগাল যেতে চান। কেউ কাজের উদ্দেশ্যে আবার কেউ পড়াশুনার উদ্দেশ্যে। যারা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তারা অনেকেই পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সর্ম্পকে জানেন না। আজ সেই বিষয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
পর্তুগাল হচ্ছে ইউরোপ মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। পর্তুগাল অন্যান্য দেশের টাকার মানের দিক থেকেও অনেকটাই এগিয়ে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দেশে শ্রমিকের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। এজন্য পর্তুগাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করে। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩? পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
যারা জানেন না তারা জেনে রাখুন যে পর্তুগালে মাসিক বেতন দেওয়া হয়ে থাকে সর্বনিম্ন প্রায় ৭০৫ ইউরো। পর্তুগালে কাজের বেতন এটা সর্বনিম্ন ধরা হয়ে থাকে। কাজের ওপর ভিত্তি করে বেতন কম বেশী হয়ে থাকে। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩? পর্তুগালে অনেক রকম কাজের জন্য অনেক রকম ভাবে বেতন দেয়া হয়ে থাকে। তবে সর্বনিম্ন বেতন ৭০৫ ইউরো। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩? এছাড়াও পর্তুগাল দেশটিতে কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করার সুযোগ থাকার কারণে এখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। তাই বলা যায় বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য আকর্ষণের একটি জায়গা হল এই দেশটি।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। সাধারণত যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যেতে চান তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।। তবে এই নির্ভর করে আপনি কাদের মাধ্যমে যাচ্ছেন তার উপর। আপনি যদি কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে পর্তুগাল যান তাহলে আপনার খরচে বেশ কম দেখা দিতে পারে। কেনোনা দালালের সাহায্যে গেলে আপনার খরচ তুলনামূলক এই টাকার পরিমান থেকে অনেক বেশি হতে পারে। এছাড়াও পর্তুগাল সরকার প্রতি বছর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অন্তর্ভুক্ত কৃষি শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে থাকে। কৃষি শ্রমিক ভিসা নির্মাণ শ্রমিক ভিসা এবং হোটেল শ্রমিক ভিসার ক্ষেত্রে খরচ প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। এ সকল শ্রমিকদের প্রায় ১০ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে।
পর্তুগালে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি?
নিচে পর্তুগালে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা দেওয়া হলো-
- জেনারেল লেবার
- প্যাকেজিং কাজ
- ওয়্যারহাউজ
- ড্রাইভার
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- ওয়েটার
- ক্লিনার স্টপ
- শেফ
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি লাগে?
নিচে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি লাগে তা দেওয়া হলো-
- আপনার নিকট একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আবেদনকারী প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আপনার আর্থিক সচ্ছলতার প্রমানপত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- হেলথ ইন্সুরেন্স।
- পর্তুগাল আবাসনের প্রমানপত্র।
- নিজের দেশের বৈধ নাগরিকত্বের প্রমান।
পর্তুগালে বাঙালিরা কি কি কাজ করে?
নিচে পর্তুগালে বাঙালিরা কি কি কাজ করে তা দেওয়া হলো-
- বাঙালিরা লেবারের কাজ করে থাকেন।
- পর্তুগালে রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন।
- পর্তুগালে বাঙালিরা শেফ এর কাজ ।
- ক্লিনারের কাজ করে থাকেন।
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করে থাকেন।
- ড্রাইভিং এর কাজ করে।
- বাঙালিরা খাবার প্যাকেজিং এর কাজ করে থাকেন।
পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
নিচে পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো-
- পর্তুগাল যেতে হলেযেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম আবেদন করতে হবে।
- আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- দুইটা বা তার অধিক ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রয়োজন হবে।
- করোনার টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- সদ্য তোলা ছবি এর প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে সম্পর্কে একটি তথ্য লাগবে।
আরও পড়ুনঃ ১ ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।